কল দিয়ে মাকে বললাম- পৌঁছেছো বাড়ি?
মা- হ্যাঁ কেবলই ঢুকলাম।
আমি- আচ্ছা ঠিক আছে।
মা- তুই পৌঁছেছিস?
আমি- হ্যাঁ মা এইতো অফিসে ঢুকেই আমার প্রান প্রিয় আম্মুকে কল দিলাম।
মা- বাহ বাহ আজ দেখি প্রান প্রিয় হয়ে গেলাম, এতো দিন তাহলে কি ছিলাম?
আমি- সব সময় ছিলে শুধু মুখ ফুটে বলতে পারিনি।
মা- তাই ভালো। এখন রাখ রান্না বসাবো।
আমি- ঠিক আছে মা।
এই বলে ফোন রেখে কাজে মন দিলাম। মিনিট দশেকের মধ্যে মা কল দিলো। আমার তো মার নাম্বার দেখে বুক দুরুদুরু করতে লাগলো না জানি ওসব দেখে মা কি রিয়্যাকশন ঝাঁড়ে।
আমি ফোনটা রিসিভ করলাম আর বললাম- হ্যাঁ মা বলো!
মা বলল- এসব কি নিয়েছিস?
আমি- কি সব মা?
মা- কিসব মানে, তুই জানিস না কি কি নিয়েছিস?
আমি- কেনো ভুল কি নিলাম সবারি তো লাগে এসব।
মা- তাই বলে তুই এসব আমাকে কিনে দিবি?
আমি একটু ফিলোসোফি মিশিয়ে বললাম- তুমি সেকেলেই রয়ে গেলে মা, আজ কাল মা বেটা তে বন্ধুর মতো মিশে, কার কি লাগে, কি অসুবিধা সব শেয়ার করে, সেখানে তোমাকে কি এমন দিলাম যে রাগে ফেটে পড়ছো?
মা একটু নরম হয়ে বলে- না মানে তাই বলে তুই...
আমি মাকে থামিয়ে দিয়ে বলি- দেখো মা আমি বড়ো হয়েছি আর বাবা যেহেতু কাছে নেই তাই আমি তোমার ভালো মন্দের খেয়াল রাখতে চাই, তুমি হয়তো বলবে এতোদিন তাহলে রাখিসনি কেনো? আমি বরাবরই চাইতাম তোমার খেয়াল রাখতে, এতোদিন শুধু নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারিনি বলে আমার লক্ষী মায়ের চাওয়া পাওয়া গুলো পুরন করতে পারিনি।
(আমি এক নিঃশ্বাসে এসব বলে চুপ করলাম দেখি এখন কি বলে মা)
মা বলল- আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে কিন্তু এই ছোটো ছোটো জিনিস গুলো কেনো নিয়েছিস? এগুলো তো আমি পরি না।
আমি বলে ফেলি- এতোকাল পরতে দেখিনি দেখেই তো নিলাম, আমি জানি মা সব মেয়েদেরই এগুলো দরকার, সবারি মন চায়, শুধু আমাদের সামর্থ্য ছিলোনা দেখে তুমি কখনো চাওনি
(মা আমার কথা শুনে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো)
আমি আবার বলি- না না মা কাঁদবে না, আমি তোমার সব চাওয়া পুরন করবো, তুমি না বললেও আমি বুঝে যাই মা, তুমি দেখে নিও তোমার না বলা সব চাওয়া আমি পুরন করবো মা।
মা কিছুটা আফসোসের সুরে বলে- এগুলো পরে কি হবে বল? আমার কি আর সে বয়স আছে? যখন মন চাইতো যখন দরকার ছিলো তখন তো পাইনি এখন আর লাগবে না।
আমি বলি- না না মা এমন কথা বলো না, এগুলো পড়লে তোমাকে অনেক সুন্দর দেখাবে আর তোমার এমন কি বয়স হয়েছে যে লাগবে না? তুমি আগে পরে দেখো কেমন লাগে, তোমার মাপে হয় কি না তাও দেখো, মাপে না হলে বদলে নিয়ে আসবো।
মা বলে- এতো সুন্দরের কাজ নেই, মানুষে বলবে বুড়ী বয়সে রং লেগেছে।
আমি বলি- মানুষের কথা বাদ দাও মা, আমরা যখন কষ্টে ছিলাম তখন কি মানুষ এগিয়ে এসেছিলো? আর সত্যি বলতে কি জানো মা সবাই তোমাকে হিংসে করে, তোমার মতো সুন্দরী এ গ্রামে কেউ নেই তাই।
মা বলে- হি হি সুন্দরী? যা ফাজিলের বাচ্চা মাকে কেউ এসব বলে?
আমি- রাগ হলে? সরি মা।
মা বলে- আরে না পাগল এমনি বললাম।
(তারমানে আমার এসব কথা মারও শুনতে ভালো লাগছে)
আমি তখন বললাম- ধন্যবাদ মা, কখনো যদি বেয়াদবি করে ফেলি আমাকে মেরো কেটো তারপরও রাগ হইয়োনা মা, তোমাকে আমি খুব ভালোবাসি।
মা বলে- পাগল মা কি কখনো সন্তানের উপর রাগ করে থাকতে পারে? পারে না।
আমি বলে উঠি- আচ্ছা মা তুমি ওসব পরে দেখে আমাকে জানাও আর হ্যাঁ মা ওখানে ভিট বলে একটা জিনিস আছে ওটা আবার মুখে হাতে মেখো না।
মা বলে- হি হি বাসায় আয় তুই আজ তোর হবে, আমাকে শিখাচ্ছিস কোনটা কি?
আমি- না মা তা না এমনি বললাম, আর শুনো রেক্সোনা...
মা- জানি জানি বলতে হবে না।
আমি- হা হা হা আমিতো ভেবেছিলাম আমার মা সোজা সরল কিছুই জানে না এখন দেখছি সবই জানে।
মা- এগুলো কি আর এমন যে জানবো না? আমি না ব্যাবহার করলেও তোর বোনদেরকে তো কিনে দিয়েছি।
আমি- তা অবশ্য ঠিক। আচ্ছা মা তুমি ওইসব পরে দেখো তুমার ঠিক ঠাক হয় কিনা।
মা- না এখন না, রান্না শেষ করে গোসল করে তারপর পরে দেখবো।
আমি- আচ্ছা মা তাহলে রাখি?
মা- হ্যাঁ রাখ দুপুরে খেয়ে নিস।
আমি- ঠিক আছে মা।
এই বলে আমি কলটা কেঁটে দিলাম!!
মার সাথে যে এগুলো বলতে পেরেছি বিশ্বাসই হচ্ছে না আর আমার ধো*ন মামা তো বাঁশ হয়ে গেছে। পরে অফিসের বাথরুমে ঢুকে খিঁচে তবেই শান্ত হই।
প্রায় এক ঘন্টা পর মা ছোট্ট একটা মেসেজ দিলো (মা একটা বাটন ফোন চালায় আর মা যে বাটন ফোন দিয়ে মেসেজ দিতে পারে তা তো জানা ছিলো না আমার)
মা শুধু মেসেজে লিখেছে- হয়েছে।
আমি তো খুশিতে বাকবাকুম, আর আমিও মার মেসেজের রিপ্লে দিলাম- ঠিক মতো হয়েছে মা?
মা উত্তর দিলো- হ্যাঁ।
আমি আবার মেসেজ দিলাম- ওগুলো পড়ে কেমন লাগছে মা?
মা উত্তর দিলো- তোকে বলতে যাবো কেনো?
আমি পাল্টা মেসেজ দিলাম- তা ঠিক, তাহলে বাবা কে বলো, বাবা খুশি হবে শুনে।
আমার এই মেসেজ দেখে মা লিখলো- খুশির ঠেলায় মা বেটাকে বাড়ী থেকে বের করে দিবে, বেয়াদবের বাচ্চা তোর বাবাকে বলবো যে ছেলে আমাকে এসব কিনে দিয়েছে? তোর বাবার কি আর এসবের প্রতি খেয়াল আছে।
আমি মায়ের মেসেজের রিপ্লে তে লিখলাম- কেনো? বাবা বুঝি তোমার যত্নআত্তি নেয় না?
মা লিখলো- বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু রানা!
আমি মায়ের মেসেজ দেখে ঘাবড়ে গেলাম আর লিখলাম- সরি মা সরি, আমার ভুল হয়ে গেসে।
মা উত্তর দিলো- ঠিক আছে।
আমি মায়ের এতো ছোটো উত্তরে হতাস হলাম আর আবার লিখলাম- রাগ করলে মা?
মা উত্তর দিলো- এমন কিছু বলিস না যাতে রাগ উঠে।
আমি আবার লিখলাম- ওকে মা ওকে, সরি আর কখনো এমন বলবো না, এখন বায়।
(আমি ভাবতে লাগলাম যা শা*লা এ দেখি তেজও দেখায়)
মায়ের সাথে মেসেজ করা শেষ করে আমি বাবাকে কল দিলাম।
বাবাকে কল দিয়ে বললাম- মৌমিতাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া দরকার।
বাবা বলল- কেনো রে সোনা কিছু হয়েছে নাকি?
আমি- না বাবা সেরকম কিছু না তবে কার সাথে জানি মোবাইলে কথা বলে।
বাবা- এজন্যই তো বলি মোবাইল দেওয়া ঠিক হয়নি।
আমি- বাদ দাওতো বাবা ওসব, এখন দেখো কি করা যায়।
বাবা- আচ্ছা দেখি তোর বড়ো মামার সাথে কথা বলে।
আমি- দেখো।
এই বলে ফোনটা কেঁটে দিলাম। ওদিকে আমার অফিস টাইম শেষ। অফিস শেষে সোজা বাড়ী গিয়ে গোসল করে হালকা খেলাম। মাকে দেখে মনে হয় না মা রাগ করে আছে তবে কেমন যেনো কথা কম বলছে।
যাইহোক পরে আমি মৌমিতা কে ডাকলাম, বললাম আমার ঘরে আয়, এই বলে আমি নিজের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়লাম।
মৌমিতা এসে বলল- কি ভাইয়া?
আমি বললাম- বস। একটা কথা জিজ্ঞেস করছি সোজা সোজি উত্তর দিবি।
মৌমিতা- কি কথা ভাইয়া?
আমি- তুই কার সাথে কথা বলিস? আমরা তোর বিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছি, তোর যদি কেউ পছন্দের থাকে বলতে পারিস।
মৌমিতা মাথা নিচু করে বসে রইলো। মা যে দরজার উপারে দাঁড়িয়ে আছে তা জানতাম না।
মা ঘরে ঢুকে মৌমিতার সামনে দাঁড়ালো আর মৌমিতাকে কড়া গলায় বললো- ভাইয়ের কথার জবাব দিচ্ছিস না কেনো?
মৌমিতা উত্তর দিলো- কবির ভাইয়ের সাথে।
(যে মামা আমার চাকরি নিয়ে দিয়েছে তার মেজো ছেলে হচ্ছে কবির, আমার থেকে দুবছরের ছোট)
মা- কি?
এটুকু বলেই মা ঠাস করে মৌমিতার গালে একটা চড় বসিয়ে দিলো।
আমি বললাম- আহা মা ওকে মারছো কেনো? এখন কথা বলছি তো না কি?
মা- কি আর কথা বলবি হ্যেঁ? কথা বলার আছেটা কি? কথা বলার মুখ রেখেছে তোর বোন?
আমি- ছাড়ো তো মা! তুমি চুপ করে বসো আগে।
আমি আবার মৌমিতাকে জিজ্ঞেস করি- কবে থেকে কথা বলিস?
মৌমিতা উত্তর দেয়- এক বছর থেকে।
আমি- এখন কি করতে চাস?
মৌমিতা- তোমরা যা বলবে তাই।
আমি- আচ্ছা তুই যা এখন।
মৌমিতা চলে যেতে মা আমার উপর ঝাঁড়া শুরু করলো।
আমি মাকে বললাম- তুমি এতো রাগছো কেনো মা, দেখি না কি করা যায়।
মা- কি দেখবি এ্যা? বড়ো ভাই এই বিয়ে দিবে ভেবেছিস? তাদের বরাবর যোগ্যতা আমাদের আছে?
আমি- তোমার ভাইয়ের অর্থ সম্পদ বেশি বলে কি তার ছেলে আকাশের চাঁদ নাকি? আমি নিজে আগে কবিরের সাথে কথা বলে পরে মামার সাথে কথা বলবো তুমি চিন্তা করো নাতো মা।
মা- যা ইচ্ছে কর, তোরা সারাটা জীবন আমাকে সবাই মিলে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারলি।
আমি- হা হা হা, রাগলে তুমি লাল হয়ে যাও মা।
মা- ইয়ার্কি হচ্ছে?
আমি- আরে না মা আসলেই সুন্দর লাগছে।
মা গরগর করতে করতে চলে গেলো। আমি কবিরকে কল দিয়ে সব জেনে নিলাম, কবিরো মৌমিতাকে চায়।
তো আমি কবিরকে জিজ্ঞেস করলাম- তোর বাবাকে বলেছিস?
কবির বলল- না ভাইয়া তুমি বলো।
আমি- যদি তোর বাবা না মানে?
কবির- তাহলে অন্য ব্যাবস্থা করবো।
আমি- খুব সেয়ানা হয়ে গেছো তাই না!
কবির- না ভাইয়া তা না, তুমি বাবাকে বলে দেখো আগে যদি না মানে পরে না হয় আমি নিজে বলবো।
আমি- ঠিক আছে রাখ।
কবিরের ফোনটা কেটে বাবাকে কল দিলাম। বাবাকে জিজ্ঞাস করলাম- বড়ো মামার সাথে কথা বলেছো?
বাবা বলল- না রে বাবা, এই মাত্র ডিউটি শেষ করলাম, এখন বলবো।
আমি বাবাকে সব কথ বললাম, বাবাও শুনে হা হুতাস করলো, বাবারো ধারনা বড়ো মামা আমাদের মতো গরীব ঘরে ছেলের বিয়ে দিবে না।
যা হোক পরের দিন শুক্রবার হউয়াতে আমি নিজে মামার বাড়ি গেলাম। অবশ্য আগে কল দিয়ে জেনে নিয়েছি মামা বাসায় আছে কি না। বাবা কে ছুটি নিয়ে আসতে বলেছিলাম কিন্তু আসতে পারেনি, তাই ভাই হয়ে বোনের ঘটকালি করতে নিজেই গেলাম। (আর এতে তো আমারই লাভ, বাড়ি ফাঁকা হলে আমার প্রান প্রিয় রসালো মাকে যদি পটাতে পারি তাহলে তো সোনায় সোহাগা)
তো মামার বাসায় ঢুকে মামা মামিকে আলাদা করে নিয়ে বিস্তারিত সব ভেংগে বললাম, মামা সব শুনে চুপ করে রইলো।
আমি বললাম- মামা মনে হচ্ছে তোমার মত নেই, তাহলে ওদের ব্যাপারটা কি করবো তুমিই বলে দাও?
মামা মুচকি হেসে বললো- কে বলেছে আমার মত নেই? তার আগে তোমার মামি কি বলে শুনে নাও, তোমার সাথে তোমার বাবা আসলে ভালো হতো।
আমি বললাম- আমি বাবাকে ডেকেছিলাম মামা কিন্তু বাবা ছুটি পায় নাই।
মামা বললো- হ্যাঁ আমাকে কল দিয়েছিলো তোমার বাবা।
মামী বললো- শুনো রানা, আমি যখন এ বাড়িতে বউ হয়ে আসি তখন তোমার মা ছিলো আমার প্রানের বান্ধবী ঠিক মার পেটের বোনের মতো, তোমার মার বিয়ে হয়ে গেলো তারপরও তার কথা আমার খুব মনে পড়তো, যখন তোমরা হলে তখনি আমি আর তোমার মামা দুজনে ভেবে রেখেছি নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলার কথা, আমরা রাজী বাবা তবে তোমাকেও একটা কথা রাখতে হবে!
আমি বললাম- কি কথা মামী, যে কোনো কথা রাখতে আমি প্রস্তুত কারন তোমাদের ঋণ শোধ হবার নয়।
মামী বলে- আরে না বাবা এভাবে বলো না, শুনো রানা সহজ ভাবে বলছি কিছু মনে করো না।
আমি- না না মামী আপনি বলেন সমস্যা নেই।
মামী বলল- মৌমিতার সাথে কবিরের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছি, সাথে তোমাকে কিন্তু মুন্নিকে বিয়ে করতে হবে (মুন্নি আমার মামাতো বোন মানে কবিরের ছোট বোন)
আমি বললাম- কি বলছেন মামী? মুন্নি কতো ছোট।
মামি বললো- হ্যাঁ এখন ছোট কেবল ক্লাস টেনে উঠলো, ইন্টার পাশ করার পর না হয় দিবো।
আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে বললাম- আপনাদের যেমন ইচ্ছে মামানি।
আমি রাজি শুনে মামী এক দৌঁড়ে মিষ্টি নিয়ে এসে আমাকে ও মামাকে খাইয়ে দিলো। আমিও তাদের খাইয়ে দিলাম।
তারপর বললাম- এখন বিদায় দেন মামানি যাই তাহলে?
মামি বললো- আরে না বাবা আজ তোমার যাওয়া হবে না, আজ থেকে যাও কাল যেও।
আমি বললাম- না মামী কাল অফিস আছে আর বাড়িতে মা মৌমিতা শুধু।
মামি বললেন- তা ঠিক, আচ্ছা আবার এসো তাহলে বাবা।
আমি- হা মামী আসবো।
আমি এটা বলে বের হউয়ার জন্য ঘুরতেই পাশের রুমের পর্দার নিচে চোখ গেলো আমার। আমি দেখলাম এক জোড়া ফর্সা পা দেখা যাচ্ছে, নিশ্চই মুন্নি লুকিয়ে লুকিয়ে আমাদের কথা শুনছে।
বাহ বাহ এতো ভালো লক্ষন। যাইহোক মামী বাইরের দরজা পর্যন্ত আমাকে ছাড়তে এলো।
আমি তখন মামিকে বললাম- আরেকটা কথা মামানি!
মামী- হা বলো কি কথা?
আমি বললাম- আমি ছেলে হয়ে বাবাকে নিজের বিয়ের কথা কিভাবে বলি তার থেকে আপনি যদি নিজে বলতেন?
মামি আমার কথা শুনে- হি হি এই কথা আচ্ছা ঠিক আছে আমি নিজে তোমার বাবার সাথে কথা বলে নিবো।
আমি খুশিতে মামীকে জড়িয়ে ধরলাম আর বললাম- ধন্যবাদ মামানি। আপনারা আমাদের এতো ভালোবাসেন দেখে নিজেদেরকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।
মামী আমার পিঠে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল- আরে না পাগল তেমন কিছু না এমন সুন্দর মেয়ের জামাই পাবো এতেই আমি খুশি......
0 মন্তব্যসমূহ