তন্নীকে তৃপ্তি দেয় তারই ভাগিনা সম্পন্ন ভিডিও দেখুন গল্পটুকু পরুন।

 


ভিডিও লিংক 

"কাপড় খুলে আস তাড়াতাড়ি! অনেক রাত হয়েছে! "

অবন্তীর চোখে পানি এসে গেল! এখনই মনে হয় জানোয়ারটা ঝাপিয়ে পড়বে! এই মানুষটার সাথে তার সারাজীবন কাটাতে হবে। 

যাওয়ার জায়গা নেই তার। বাবা কত কষ্টে বিয়ে দিয়েছে। অবন্তীর বাবা একজন স্কুল মাস্টার ছিলেন। এখন রিটায়ার্ড করেছেন। টাকা পয়সা যা ছিলো প্রথম দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েই শেষ! 

এখনো দুই মেয়ে বাকি! অবন্তীরা পাঁচ বোন। অবন্তী তিন নাম্বার।  

লোকটার বয়স একটু বেশি তাতে অবশ্য অবন্তীর কোনো আপত্তি ছিলো না! বাসর রাতে কোন কথা না বলেই কাপড় খোল!  

লোকটা বারান্দায় চলে গেছে! এখনই ফিরে এসে অবন্তীর ওপরে ঝাপিয়ে পড়বে। অবন্তী শাড়িটা খুলে বিছানায় উঠে বসল। ছায়া আর ব্লাউজ পরে আছে! কী যে খারাপ লাগছে! বাসর রাত নিয়ে মানুষের কত স্বপ্ন থাকে। ওর কাপালটাই খারাপ!

বিছানার চাদরটা গায়ে দিয়ে বসে আছে অবন্তী। লোকটা বারান্দায় গিয়ে সিগারেট খাচ্ছে মনে হয়। বাইশ বছরের জমিয়ে রাখা শরীরটা দিতে হবে সে তো অবন্তী দিতোই একটু ভালোবেসে নেয়া যেত না?

লোকটা ফিরে আসল। অবন্তীর বুকটা কেমন করছে! ইচ্ছে করছে পালিয়ে যেতে।

লোকটা একটু হেসে বলল, "বাঃ! তুমি তো খুব দ্রুত চেঞ্জ করতে পারো! "

অবন্তী একটু লজ্জা পেল। কাপড় চেঞ্জ করতে মানুষ এভাবে বলে? আজব মানুষ তো! ও কী সব ভেবেছে এতক্ষণ? 

অবন্তী বলল, "আমি একটু বাথরুমে যাবো।"

"যাও। রুমেই আ্যটাস্ট বাথরুম আছে। "

"আপনি একটু বারান্দায় যান।"

"লজ্জা লাগছে বুঝি? আচ্ছা তোমার নাম কী? আমার আবার নাম মনে থাকে না!"

"অবন্তী। "

"খুব সুন্দর নাম!"

লোকটা বারান্দায় চলে গেল। মানুষটা খারাপ না! অবন্তী উঠে বাথরুমে গেল। বাথরুমে অবন্তীর পরা একটা থ্রি পিছ রাখা। অবন্তীর এখন বেশ ভালো লাগছে! একটু লজ্জাও লাগছে!

অবন্তীর পাশে বসে আছে মানুষটা। ওর দিকে তাকিয়ে একটু হাসল। অবন্তী নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষটার দিকে তাকাতে কেমন লজ্জা লাগছে! 

"আমার নাম কী জানো?"

একটু নিচু স্বরে বলল, "আসলাম শেখ।"

"এত বেশ লজ্জার ব্যাপার হলো! তুমি আমার নাম ঠিক মনে রেখেছ। আমি তোমার নাম ভুলে বসে আছি!"

অবন্তী কিছু বলল না।

"কফি খাবা অবন্তী? "

অবন্তী কিছু বলল না।

আমার ঘরে কফি বানানোর ব্যবস্থা আছে। তুমি বস আমি কফি বানিয়ে আনছি।

অবন্তীর ইচ্ছে ছিলো বলে আপনি বসুন আমি বানাচ্ছি বলা হলো না। মানুষটা উঠে চলে গেছে।

দুই কাপ কফি নিয়ে ফিরে আসল আসলাম। হাত বাড়িয়ে কফি দিয়ে বলল, "খেয়ে দেখ কেমন হয়েছে? আমি অবশ্য ভালো কফি বানাতে পারি। আজ মনে হয় ভালো হয়নি! "

মানুষটা মনে হয় বেশি কথা বলে। বেশি কথা বলা মানুষের মনটা খুব ভালো থাকে। অবন্তীর বাবাও বেশি কথা বলে।  

অবন্তী কফির কাপে আলত করে চুমুক দিলো। কফিটা খেতে বেশ ভালো লাগছে! ওদের বাড়িতে কফি খুব একটা খাওয়া হয় না!

"ঘরে আসবাবপত্র কিছুই নাই। ফ্লাটটা পেয়েছি ছয় মাস আগে। একটু গুছিয়ে নেয়া যেত ইচ্ছে করেই ফ্লাটে আসিনি। তোমাকে নিয়ে একসাথে উঠব বলে। এখন তোমার ফ্লাট তুমি গুছিয়ে নাও। সব কিছু একসাথে কিনতে পারব না! অল্প অল্প করে সাজাবে। একটু কষ্ট হবে তোমার পারবে না?"

অবন্তী মানুষটার দিকে তাকাল। এত মায়া লাগছে কেন মানুষটার জন্য! কেমন ছুয়ে দিতে ইচ্ছে করছে!

কষ্ট 

ভালো লাগলে ফলো করতে ভুলবেন না কিন্তু ধন্যবাদ আপনাকে 🙂

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ